বিশ্ব ফুটবলেই এখন পেড্রো-ডলারের ঝনঝনানি। মধ্যপ্রাচ্যের ধনকুবেরদের টাকায় বদলে যাচ্ছে ইংল্যান্ড, ইতালি বা ফ্রান্সের ফুটবলের পুরো ছবি। পিএসজি একটা সময় ধুঁকত ফরাসি লিগে। কাতার ইনভেস্টমেন্ট অথরিটি ক্লাব কেনার পর সেই পিএসজিতে এখন চাঁদের হাট। লিওনেল মেসি, নেইমার, কিলিয়ান এমবাপ্পে, সের্হিয়ো রামোসদের নিয়ে বিশ্বের অন্যতম সেরা ক্লাব তারাই।

একই স্বপ্নে এবার ইংল্যান্ডের নিউক্যাসল কিনে নিল সৌদি আরবের সৌদি আরবিয়া পাবলিক ইনভেস্টমেন্ট ফান্ড। এই কম্পানির মালিকানা সৌদি যুবরাজ মুহাম্মদ বিন সালমানের। তবে নিউক্যাসলে প্রকাশ্যে আসবেন না তিনি। গত ১৪ বছর নিউক্যাসলের মালিক ছিলেন মাইক অ্যাশলি। ৩০০ মিলিয়ন পাউন্ডে অ্যাশলির কাছ থেকে কিনে নেওয়া হয়েছে প্রিমিয়ার লিগের ঐতিহ্যবাহী ক্লাবটি।

সৌদি আরবিয়া পাবলিক ইনভেস্টমেন্ট ফান্ড কিনেছে ৮০ শতাংশ শেয়ার। বাকি ২০ শতাংশ আমান্ডা স্টেভিলি ও রুবেন ভাইদের। মালিকানা পেয়েই আমান্ডার হুংকার, ‘পিএসজি, ম্যানসিটির মতো দাপুটে ক্লাব হতে চলেছে নিউক্যাসল।’ নিউক্যাসল কতটা সফল হবে, বলা কঠিন। তবে অর্থবিত্তে এখনই ছাড়িয়ে গেছে সবাইকে। সৌদি আরবিয়া পাবলিক ইনভেস্টমেন্ট ফান্ডের সম্পত্তির মূল্য ৩২০ বিলিয়ন পাউন্ড। ক্লাব ফুটবলে এত দিন ২২০ বিলিয়ন পাউন্ড মূল্য নিয়ে শীর্ষে ছিল পিএসজির মালিকানা প্রতিষ্ঠান কাতার ইনভেস্টমেন্ট অথরিটি।

২০১১ সালে তারা কিনে নেয় ফ্রান্সের ঐতিহ্যবাহী ক্লাবটি। আবুধাবি রাজপরিবারের সদস্য শেখ মনসুর ২০০৮ সালে কিনেছিলেন ম্যানচেস্টার সিটি। আরব আমিরাতের ডেপুটি প্রাইম মিনিস্টার শেখ মনসুরের ব্যক্তিগত সম্পত্তির পরিমাণ ২১ বিলিয়ন ডলার। পিএসজি, ম্যানসিটি দুই দলই দাপট দেখাচ্ছে নিজেদের লিগে।

এমনকি দুই দল পৌঁছেছিল চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালেও। নিউক্যাসল কি পারবে তাদের পথে হাঁটতে?  নিউক্যাসলের ভক্তরা অবশ্য ভীষণ উচ্ছ্বসিত। নতুন মালিক বিশ্বসেরা খেলোয়াড়দের কিনে দলের চেহারা বদলে দেবেন, এমন প্রত্যাশা তাদের। আশাবাদী ক্লাব কিংবদন্তি অ্যালান শিয়েরারে বলেন, ‘গত ১৪ বছর আমরা লক্ষ্যহীন ফুটবল খেলে চলেছি। এখন নতুনভাবে স্বপ্ন দেখাই যায়।’

সূত্র: ডেইলি মেইল